শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
বরিশালে ১শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে ‘লাল গির্জা’

বরিশালে ১শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে ‘লাল গির্জা’

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পোশাকি নাম অক্সফোর্ড মিশন চার্চ। লাল ইটের তৈরি বলে স্থানীয় মানুষের কাছে ‘লাল গির্জা’। দেশের সর্ববৃহৎ গির্জা এটি। শুধু বাংলাদেশই নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গির্জা হল এটি। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। কোথাও তাড়াহুড়োর চিহ্ন নেই। যেন যতœ নিয়ে সবটা সাজানো হয়েছে। গাছগুলো নিখুঁতভাবে ছাঁটা। তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গির্জার লাল রঙের মূল স্থাপত্যটি। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু পুকুর। তার স্বচ্ছ জলে সূর্যের আলো এসে পড়েছে। আলো পড়েছে শতাব্দীপ্রাচীন এই মঞ্চের গায়ে। উনবিংশ শতকের শেষের দিক। আস্তে আস্তে খ্রিস্টান মিশনারিরা আসতে শুরু করেছে বরিশালে। তৈরি হচ্ছে গির্জা, ছড়িয়ে পড়ছে খ্রিস্ট ধর্ম। অক্সফোর্ড মিশন বলে একটি মিশনারি সংস্থার উদ্যোগে বরিশালে তৈরি হল এপিফ্যানি চার্চ। পরবর্তীকালে যেটা পরিচিতি পায় অক্সফোর্ড মিশন চার্চ হিসেবে। ১৯০৭ সালে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয় এই গির্জার। অনেক যতœ নিয়ে নকশা করেছিলেন ফাদার স্ট্রং এবং সিস্টার এডিথ। প্রাঙ্গণ ছেড়ে গির্জার ভেতরে ঢুকলেই বোঝা যাবে সেই যতœ। মোট ৪০টি খিলানের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই বিশাল গির্জা। মূল প্রার্থনাকক্ষটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট! লাল ইট দিয়ে পুরো স্থাপত্যটি তৈরি হলেও, ভেতরের ছাদটি কাঠের তৈরি। মার্বেলের প্রশস্ত মেঝের ওই পাড়ে রয়েছে বড় একটি ক্রশ। বেথেলহেম থেকে নাকি এটি আনা হয়েছিল। বলা হয়, এই গির্জাটি এমনভাবে তৈরি, যাতে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে স্থাপত্যটি রক্ষা পায়। বাস্তবিকই তাই। রয়েছে চার্চের বিখ্যাত ঘণ্টাও। দিনে সাত বার বাজে এটি। নিয়মিত। জাদুছন্দে প্রার্থনা শুরু হয়। জানান দেয় ঈশ্বরের ধ্বনি। বরিশালের অক্সফোর্ড চার্চের এই ঘণ্টাটি নাকি এশিয়ার সব থেকে বড় ঘণ্টা। ছাত্রাবস্থায় নাকি এই গির্জার হোস্টেলেই থাকতেন জীবনানন্দ দাশ। শোনা যায়, গির্জার এক সেবিকার কন্যা মুনিয়া ছিলেন জীবনানন্দের প্রথম প্রেমিকা। জীবনানন্দের একাধিক কবিতায় উল্লিখিত রয়েছে ‘মনিয়া’ বা ‘মুনিয়া’ শব্দটি। সত্যিই কি এই নামে জীবনানন্দের প্রেমিকা ছিলেন কেউ? না নিছক এক মিথ? প্রসঙ্গত, এই গির্জাটি জীবনানন্দের বাড়ি থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত। চারিদিকে ভরা বাগান। পাম গাছের সারি। মনে পড়ে, এমনই রূপসী বাংলাতেই বারবার ফিরতে চেয়েছেন জীবনানন্দ। আর এই সব স্মৃতি নিয়ে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ‘লাল গির্জা’। বজায় রেখেছে নিজের গাম্ভীর্য।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com